IQNA

ইমাম রেজার (আ.) দৃষ্টিতে ইমাম পরিচিতির গুরুত্ব

23:42 - August 11, 2018
সংবাদ: 2606436
আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীর মানুষকে হেদায়েতের উদ্দেশ্যে যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন। তারা নানাবিধ বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে মানব জাতিকে দিকনির্দেশনা দান করেছেন। আর হযরত মুহাম্মাদের (সা.) মাধ্যমে নবুয়্যাতের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটে এবং আল্লাহর নির্দেশে ইমামতির ধারার সূচনা হয়।

 


বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম পরিচিতির গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী থেকে শুরু করে সকল ইমামগণই বলেছেন, তার মধ্যে ইমাম রেজা(আ.) বিশেষভাবে এই বিষয়ের উপর ইঙ্গিত করেছেন।

ইমাম রেজা(আ.) বলেছেন,

ইমামতের গুরুত্ব ও মর্যাদা এত বেশী যে তা কারও পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভভ নয়। কেউ ইমামকে নির্বাচন করতে পারে না। ইমামতের পদ এমনই একটি পড় যা নবীগণের মত আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়। যেভাবে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন: আমি তোমাদের জন্য ইমাম নির্ধারণ করেছি।

সূরা বাকারাহ''র ১২৪তম আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন-

وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ

যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও (ইমাম) নিযুক্ত করুন। তিনি বললেন, আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

হযরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর কাছে তার বংশধরদের জন্যেও ইমামতের মর্যাদা দানের প্রার্থনা করেন৷ আল্লাহপাক তার এই প্রার্থনার জবাবে বললেন, ইমামতের এই মর্যাদা বংশানুক্রমিক নয় বরং যার যোগ্যতা আছে সেই এ মর্যাদার অধিকারী হতে পারবে।

রাসূলের দায়িত্ব হলো- আল্লাহর বাণী ও বিধি-বিধান পৌঁছে দেয়া এবং জনগণকে ভালো কাজের সুসংবাদ ও মন্দ কাজের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া। অপরপক্ষে ইমামের দায়িত্ব হলো সমাজে ওই বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

সূরা বাকারার এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যে, ইমামত আল্লাহর অঙ্গীকার ও আমানত, যা জালিম, অন্যায়কারী ও গুনাহগার ব্যক্তিরা পাবে না। এ আয়াত থেকে বুঝা যায়, যারা জীবনে গুণাহ করেছে তারা ইমামতের দায়িত্ব পেতে পারে না।

 

captcha