বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আমরা যদি হজ্বের আমলসমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখা যাবে, হজ্বে আমলসমূহ ধারাবাহিক এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম। কেননা একজন হাজিকে হাজি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে প্রথমে এহরাম বাধারা পর একের পর এক বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে নিজের এখলাস ও পরিশুদ্ধির অনুশীলন করতে হয়। যেমন প্রথমে আরাফাতের ময়দানে সারাদিন অবস্থান, তারপর সেখান থেকে মুজদালিফাতে রাত্র যাপন, তারপর সেখান থেকে মিনাতে গমন এবং সেখানে পরপর তিন দিন অবস্থান গ্রহণ এবং শয়তানের প্রতি পাথর নিক্ষেপ। আর এ সময় গুলিতে একজন হাজিকে আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হিসেবে পরিচয় প্রমাণের জন্য নানাবিধ নিয়ম-কানুন ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হয়।
হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা আরাফাত, মাশআরুল হারাম, মিনা ও কাবা শরিফের বিভিন্ন স্থানে তার বান্দার দোওয়া কবুল করে থাকেন। তিনি এ সব স্থানে ও এসব স্থানের বিশেষ বিশেষ আমলের মাধ্যমে বান্দার তওবাও কবুল করে থাকেন।
হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পবিত্র হজ্বের ধাবারাহিক আমলসমূহ সম্পন্নের মাধ্যমে একজন বান্দা তার জীবনের কৃত গুনাহসমূহ আল্লাহর দরবারে ক্ষমা করিয়ে নিবার সুযোগ পেয়ে থাকে। আর হজ্ব শেষে একজন প্রকৃত হজ্ব পালনকারী ব্যক্তি নিষ্পাপ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।