IQNA

মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামি জাগরণ ও প্রতিরোধ যতটা সম্ভব জোরদার করতে হবে; সর্বোচ্চ নেতা

20:06 - November 25, 2018
1
সংবাদ: 2607339
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, বিশ্বজুড়ে যে ইসলামভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠছে তাতে বলদর্পী শক্তিগুলো বিশেষ করে আমেরিকা হতাশ হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমেরিকার এত বেশি স্পর্শকাতরতার কারণ হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামি জাগরণ আমেরিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ইসলামি ঐক্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা আজ (রোববার) সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে ইসলাম গ্রহণের চেতনা এবং ইসলামি জাগরণের কারণে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ক্রিমিনাল ও বড় শয়তান আমেরিকার এত মাথা ব্যথা।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “বিশ্বের যেখানেই ইসলাম মানুষের হৃদয় ও মন জয় করেছে সেখানেই বলদর্পী শক্তিগুলো থাপ্পড় খেয়েছে এবং আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, বলদর্পী আমেরিকা এ অঞ্চলে ইসলামি জাগরণের কারণে আবারো থাপ্পড় খাবে।” মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামি জাগরণ ও প্রতিরোধ যতটা সম্ভব জোরদার করার জন্য চিন্তাবিদ ও ইসলামি বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, একমাত্র এই চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমেই এই অঞ্চলের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

ইসলামি মাজহাবগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ মোহসেন আরাকি বলেছেন, ইসরাইল ও সৌদি আরবসহ আরো কয়েকটি আরব দেশকে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে জোট গঠনের চেষ্টা করছে আমেরিকা। কিন্তু শত্রুদের এটা জেনে রাখা উচিত ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তেহরানে ইসলামি ঐক্য সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদদের ব্যাপক উপস্থিতি থেকে ইরানের নীতির প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি ফুটে ওঠে যা কিনা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারে।

উল্লেখ্য, ইরান প্রতিবছর ইসলামি ঐক্য সম্মেলন করে আসছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এবারের ৩২তম ইসলামি ঐক্য সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তেহরানে মুসলিম বিশ্বের চিন্তাবিদদের সবচেয়ে বড় এ সম্মেলনের আয়োজন থেকে এর গুরুত্ব ও প্রভাবের বিষয়টি উপলব্ধি করা যায়। ইসলামি ইরান সরকারের একটি প্রধান নীতি হচ্ছে মুসলিম বিশ্বে ঐক্য সৃষ্টি করা। ইরান সবসময়ই মুসলিম বিশ্বে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

এ বছর আমেরিকা ফিলিস্তিনিদেরকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য 'শতাব্দির সেরা চুক্তি' নামক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরাও নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসার জন্য ব্যাপক আন্দোলন ও শোভাযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, আমেরিকা আরব দেশগুলোকে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে জোট গঠনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এসব কারণে তেহরানে চলমান ইসলামি ঐক্য সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এবারের সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদেরকে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার ওপর বিশেষভাবে জোর দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইসলামি মাজহাবগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদের উপপ্রধান হোসেন শাইখুল ইসলাম বলেছেন, এবারের সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদেরকে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেয়ার ওপর বিশেষভাবে জোর দেয়া হবে।

iqna

 

প্রকাশিত: 1
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
uenvfaoj
0
0
20
captcha