IQNA

মুসলিম কৃষক বাবার ছেলে থেকে নন-মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে শান্তিতে নোবেল

0:41 - October 12, 2019
সংবাদ: 2609416
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ার সংস্কারপন্থী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন। মূলত দুই দশক ধরে প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে চলা যু'দ্ধের অবসান ও দেশটির মধ্যে জাতিগত সং'ঘা'ত নিরসনের ইথিওপিয়ার আমূল সংস্করের কারিগর হিসেবে তাকে এবার শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এবারের পুরস্কারের জন্য আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা, বিশেষ করে প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘাত নিরসনে তার যে ভূমিকা মূলত সেটাকেই পুরস্কৃত করা হলো।

তবে আবি আহমেদের ক্ষমতায় আসার বেশিদিন হয়নি। গত বছরের এপ্রিলে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাসের মাথায় গত বছরের জুলাইয়ে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন। যার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের সীমান্ত যু'দ্ধের পর গত ২০ বছর ধরে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছিল। আবি আহমেদ ক্ষমতায় আসার পরপরই সেই অচলাবস্থার নিরসন করেন। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের ওই যু'দ্ধ-সং'ঘা'তে প্রা'ণ হা'রিয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

আবি আহমেদ ইথিওপিয়ার কাফা প্রদেশের বেশাহাসা নামক ছোট্ট এক শহরে ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আহমেদ আলি হলেন দেশটির মুসলিম ধর্মাবলম্বী অরোমো জাতিগোষ্ঠীর। আর মা টেজেতা ওলডে। যিনি একজন খিস্টান ধর্মাবলম্বী।

তার কৃষক বাবার স্ত্রী ছিলেন চারজন। মোট ১৩ ভাইবোনের মধ্যে আবি আহমেদ হলেন সবার ছোট। তার মায়ের যে ছয় সন্তান ছিল তাদের মধ্যেও সর্বকনিষ্ঠ তিনি। তাইতো পরিবারে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়েছে তাকে। ঘরে থাকার জায়গা না পেয়ে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছেন।

আবি আহমেদে রাজনীতিতে সক্রিয় হন ২০১০ সালে। তার আগে তিনি আফ্রিকার আরেক দেশ রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের দূত হিসেবে কাজ করেন। রাজনীতিতে এসেই মানুষের কথা বলে তিনি জনপ্রিয় হয়ে যান। ২০১৬ সালে পান ইথিওপিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

গরিব মুসলিম কৃষকের সন্তান থেকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হওয়া আবি আহমেদ আফ্রিকার দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির সংস্কারের নেপথ্য নায়কে পরিণত হয়েছেন। ৪৩ বছর বয়সী এই আফ্রিকান নেতা নিজ সমাজ ব্যবস্থাকে একটা বড় পরিবর্তনের দিকে নিয়ে গেছেন। তাইতো তার নোবেল প্রাপ্তির খবরে দেশে উৎসব শুরু হয়েছে। এমটি নিউজ২৪

captcha