ভারতে পবিত্র কুরআন অবমাননায় তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন

তেহরান (ইকনা): পবিত্র কুরআনের ২৬টি ঐশী বাণীর পরিবর্তন চেয়ে ভারতের উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন খুলনার ওয়ালি-এ-আসর শিয়া জামে মসজিদের খতিব হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পবিত্র ইসলাম ধর্ম, ইসলামের মহান নবী (সা.) ও পবিত্র কুরআন সম্পর্কে কটুক্তি, ব্যঙ্গ ও কুরআন পোড়ানোর মত ধৃষ্টতাপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে। অতীতে সালমান রুশদী, তসলিমা নাসরিন, শার্লি এবদো’র মত ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের ইসলাম তথা নবী (সা.) এর বিরুদ্ধে জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক কটুক্তি ও প্রচারণা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।

 

এ শিয়া মাওলানা আরো বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিক জনৈক ওয়াসীম রিজভী তার ইসলামবিদ্বেষী পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পবিত্র কুরআনের কিছু ঐশী বাণীর পরিবর্তন চেয়ে ভারতের উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াসীম রিজভীর এমন চিন্তা ও ধৃষ্টতা আমাকে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করেছে। শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পবিত্র কুরআনের একটি শব্দ সম্পর্কেও যদি কেউ সন্দেহপোষণ করে সে মুসলমান থাকতে পারেনা। পবিত্র কুরআন নিজেই ঘোষণা দিচ্ছে, “এটি একটি সন্দেহাতীত গ্রন্থ এবং মুত্তাকীদের পথপ্রদর্শক”। সুতরাং, পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সন্দেহপোষণ করার ন্যুনতম সুযোগ বা অবকাশ নেই। হযরত ইমাম খোমেনী (রহ.) বলেন-‘যারা ইসলাম ধর্মে ফেৎনা সৃষ্টি করতে চায় তারা শিয়াও নয়, সুন্নিও নয়, বরং তারা সাম্রাজ্যবাদের দালাল’।

 

বাংলাদেশী শিয়া মাওলানা বলেন, ভারতীয় নাগরিক কুলাঙ্গার ওয়াসীম রিজভীর এই ঘৃণ্য চিন্তা ও দাবির প্রতি আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং তাকে মুরতাদ ঘোষণার জোর দাবি জানাই। পাশাপাশি সামাজিক তথা ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ওয়াসীম রিজভীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানাই।