IQNA

ওআইসি সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্টের সাহসি বক্তব্য; বিভেদ সৃষ্টিতে সৌদি ভূমিকার সমালোচনা

0:40 - April 15, 2016
সংবাদ: 2600609
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ডক্টর হাসান রুহানি ইস্তাম্বুলে ওআইসি’র ১৩ তম শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম জাহানে বিভেদ ও ভেদাভেদ সৃষ্টিতে সৌদি আরবের অপচেষ্টার কড়া সমালোচনা করেছেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: প্রেসিডেন্ট ডক্টর হাসান রুহানি বিভেদকামী প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভেদ উস্কে দিতে পারে-এমন কোনো বার্তাই ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলন থেকে আসা উচিত নয়। এ ধরনের বার্তা সম্পর্কে সংস্থাটির সদস্যদের ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমত্য নেই এবং তা সংস্থাটির লক্ষের বিরোধী বলে অবৈধ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে রুহানি জানিয়ে দেন।


সৌদি সরকার ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ বৈঠকের খসড়া ইশতেহারে ইরান ও লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ-বিরোধী কিছু বক্তব্য জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আর এরই প্রেক্ষাপটে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট এইসব কথা বললেন। 


ওআইসি’র শীর্ষ বৈঠকের খসড়া ইশতেহারটি লেখা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি বন্দর শহর জেদ্দায় ওআইসি’র বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠকে। রিয়াদ ইরানি প্রতিনিধিদের ভিসা না দেয়ায় সেই বৈঠকে তারা যোগ দিতে পারেনি।


এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ ওআইসি’র ইশতেহারে তেহরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরোধী বক্তব্য জুড়ে দেয়ার সৌদি প্রচেষ্টাকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে নিন্দা জানিয়েছিলেন।


তিনি এ ধরণের কর্মকাণ্ডের পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের উদাহরণ টানেন। তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় সাদ্দামও ওআইসিকে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করত। কয়েকটি মুসলিম দেশ কেন সাদ্দামের ওই ব্যর্থ নীতির অনুসরণ করছে সে প্রশ্ন উত্থাপন করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র শীর্ষ সম্মেলন আজ থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনের আগে মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

iqna


captcha