বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামী বিপ্লবের মহামান্য রাহবার বলেন, ইমামের কাজ হচ্ছে নবীর কাজের অনুরূপ। নবী যেভাবে মানুষকে আকিদাগত, চিন্তাগত, নৈতিক এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে হেদায়াত করে ইমাম ঠিক তেনমিভাবে।
তিনি বলেন: ইমামের দু’টি অতি মহান ও বড় দায়িত্ব রয়েছে। একটি হচ্ছে ধর্ম প্রচার আরেকটি হচ্ছে সমাজের নেতৃত্ব। আর এই কাজটিই হচ্ছে ইমামের জন্য সব থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজ। কেননা এর জন্য কঠিন ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ দরকার, বিপ্লব দরকার, সংগ্রাম ও সংস্কার দরকার।
ইমাম ও নবীগণের আরেকটি বড় দায়িত্ব হচ্ছে যদি সমাজের ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম থাকে তাহলে তা রক্ষা করা আর না থাকলে তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করা।
ইমামত একটি ঐশী পদ অর ইমাম নির্বাচিত হন আল্লাহর পক্ষ থেকে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলছেন «إِنِّی جَاعِلُکَ لِلنَّاسِ إِمَاماً»؛ হে ইব্রাহীম! আমি তোমাকে মানব জাতির জন্য ইমাম নিযুক্ত করলাম।
ইমাম কখনো সরাসরি নাম সহকারে পরিচিত হয় আবার কখনো তার নাম বর্ণিত হয় না বরং তার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়। যেমন মহান আল্লাহ মহানবীর মাধ্যমে ১২ জন ইমামকে নামসহকারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আবার ইমাম তার নিজের অনুপস্থিতিতে তার প্রতিনিধিদেরকে বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে পরিচয় করিয়েছেন: «فَامَّا مَن کانَ مِنَ الفُقَهاءِ، صَائِناً لِنَفسِهِ حَافِظاً لدینه مُخالِفاً عَلَی هَوَاهُ مُطیعاً لِامرِ مَولَاهُ فَللعَوَام ان یقَلدوُه»؛ আমাদের অবর্তমানে ফকিহদের মধ্যে যারা নফসের অনুসরণ করে না, দ্বীনের প্রতি অবিচল এবং মাওলার নির্দেশের প্রতি আনুগত্যশীল তোমরা এমন ফকিহর তাকলিদ বা অনুসরণ করবে।