IQNA

বাবরি মসজিদ মামলায় মধ্যস্থতাকারী চায় আদালত

21:15 - March 06, 2019
সংবাদ: 2608071
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আদালতের রায়ে নয়, বরং মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করেই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার নিষ্পত্তি করতে চায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত দেন। সব পক্ষকে মধ্যস্থতাকারীদের নাম প্রস্তাব করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখে মধ্যস্থতাকারীদের নাম চূড়ান্ত করবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

বার্তা সংস্থা ইকনা: তবে এই মধ্যস্থতার সময়কালে সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত কোনও খবর প্রকাশ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতে বিবদমান সব পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাবে।

প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এ এস বোদড়ে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতিঅশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস এ নাজির। তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রবীণ বিচারপতি এ এস বোদড়ের বলেন, ‘জমি নয়, বরং রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা ভাবাবেগ এবং বিশ্বাস’-এর।’

‘কে আক্রমণ করেছিল, বাবর কী করেছিল, সেই সময় কে রাজা ছিল, মসজিদ না মন্দির ছিল, সেসব আমরা পাল্টাতে পারব না। আমরা শুধু বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করতে পারব’, বলেন বোদড়ে। বাবরি মসজিদ মামলায় মধ্যস্থতাকারী চায় আদালত

এই মামলায় মোট পাঁচটি পক্ষ। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া, রাম লালা বিরাজমান, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা এবং মহন্ত সুরেশ দাস। এর মধ্যে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়া মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্তে রাজি হলেও আপত্তি তোলে বাকি তিনটি পক্ষ। তাদের অনেকেরই যুক্তি, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এই মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে বেঞ্চের মন্তব্য, ‘আমরা বিষয়টা (মধ্যস্থতা) অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কিন্তু মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির এক শতাংশ সম্ভাবনা থাকলেও সেই সুযোগটা আমরা দিতে চাই।’

মধ্যস্থতার বিরোধিতায় এক আইনজীবীর যুক্তি ছিল, মধ্যস্থতায় সব পক্ষ রাজি হলেও সাধারণ মানুষ নাও মেনে নিতে পারেন, যেখানে এত মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে এবং এক পক্ষ রাম মন্দির নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বোদড়ে বলেন, ‘আপনি তো ধরেই নিচ্ছেন, এক পক্ষকে অনেক কিছু ছাড়তে হবে বা সমঝোতা করতে হবে এবং অন্য পক্ষের জয় হবে। কিন্তু মধ্যস্থতা মানেই সব সময় এমনটা নাও হতে পারে।’ এনডিটিভি, আনন্দবাজার।

 

captcha