বার্ত সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এসময় নোবেলজয়ী সুচিও জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ায়। আর জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা মিয়ানমারের পতাকা নেড়ে, সুচির ছবি তুলে ধরে তাকে চিৎকার করে শুভেচ্ছা জানায়।
স্থানীয় একজন কৃষক খিন মং সোয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মা সু (অং সান সু চি) আমাদের দেশের পক্ষে আদালতে গিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে অভিযোগ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি জাতির একজন দায়িত্বশীল নেতার মতো প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন।
একটি সেনা অভিযানে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। আরও বড় ধরনের ক্ষতি ঠেকাতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ’ নিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকার দেশটি।
দ্য হেগে তিনদিনের ওই শুনানিতে অংশ নিয়ে সুচি কার্যত দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষেই সাফাই গায়। গণহত্যার কথা অস্বীকার করে সুচি যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচার দেশটির আইনে করতে হবে, এই বিচার করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই।
শুনানির শেষ দিনে সুচি বলেছে, আদালতের মামলার তালিকা থেকে এটি সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ জানিয়েছে মিয়ানমার। একইসঙ্গে গাম্বিয়ার অনুরোধ করা অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করতেও আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় সুচি।
সূত্র: rtvonline