IQNA

রোহিঙ্গাদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, সুচির চরম দুঃস্বপ্নের শুরু

20:45 - September 10, 2020
সংবাদ: 2611451
তেহরান (ইকনা): রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়ন ও গণহত্যা চালানোর কথা স্বীকার করা দুই সেনা কর্মকর্তা নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে পৌঁছানোর খবর ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর এ ঘটনাকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, সরকার এবং বিশেষ করে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির জন্য দুঃস্বপ্নের শুরু হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

রোহিঙ্গাদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, সুচির চরম দুঃস্বপ্নের শুরুবিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ো উইন তুন (৩৩) ও য নিং তুন (৩০) নামের ওই দুই সেনা মিয়ানমার বাহিনীর প'ক্ষ ত্যা'গ করে রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশ'স্ত্র সংগ্রামরত আরাকান আর্মির কাছে আ'ত্মসম'র্পণ করেন। এরপর স্বী'কারো'ক্তিমূ'লক বি'বৃতি দেন। পরবর্তী সময়ে ওই দুই সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশ সীমান্তে এসেছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা দ্য হেগে পৌঁ'ছেছেন।

নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট, সংক্ষেপে আইসিসি) ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস, সংক্ষেপে আইসিজে) অবস্থিত। আইসিজেতে জেনোসাইডবিরোধী সন'দ ল'ঙ্ঘ'ন ও রোহিঙ্গা জেনোসাইড সংঘ'টনের দায়ে মিয়ানমারের বিরু'দ্ধে গাম্বিয়ার মা'মলা চ'লছে। অন্যদিকে আইসিসির নির্দেশে এর প্রসিকিউটরের দ'প্তর রোহিঙ্গা জে'নোসাইড, গ'ণবা'স্তুচ্যু'তিসহ গু'রুত'র অপরা'ধের অনুস'ন্ধান চা'লাচ্ছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের ওই দুই সেনা দুটি আদালতেরই নাগালের মধ্যে আছেন। আগামী দিনগুলোতে তাঁদের সম্ভাব্য সা'ক্ষ্য, স্বী'কারো'ক্তি ও ত'থ্য-উ'পাত্ত রোহিঙ্গা জে'নোসাইডের জ'বাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ‘টার্নিংপ'য়েন্ট’ হয়ে উঠতে পারে। রোহিঙ্গা জেনোসাইডসহ নি'পীড়ন চা'লানোর অ'ভিযো'গ অস্বী'কার করে আসা মিয়ানমারের বিরু'দ্ধে অ'নু'সন্ধান কতটা স'ফলভাবে চালানো যাবে তা নিয়েও বিভিন্ন মহ'লে প্র'শ্ন ছিল। কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দুই সদস্যের স্বী'কারোক্তিমূলক বিবৃতি পুরো পরিস্থি'তিকে বদলে দিতে পারে।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক সাবেক উপপরিচালক ফেলিম কাইন টুইট বার্তায় বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহ'ত্যার সাক্ষী হিসেবে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের আইসিসিতে উ'পস্থি'তি অং সান সু চির জন্য চ'রম দুঃ'স্বপ্ন। কারণ তাঁর সরকার আইসিসির বিষয়ে অস্বী'কার, অগ্রা'হ্য করার নী'তি অনুসরণ করে আসছে।

মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথু স্মিথ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃ'শং'সতা চা'লানোর বিষয়ে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের দুই সেনার স্বীকারো'ক্তি ওই দেশটির সামরিক বাহিনীর দায়মুক্তি বর্মে বড় ধর'নের ফা'টল ধ'রাবে। টুইট বার্তায় তিনি আরো বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের জনগণের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মু'হূর্ত।

সূত্র: mtnews24

captcha