শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হাদীস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মনসে বিনয়-নম্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ পাক তাকে সম্মানী বানান, তাকে শুধু পরকালে সম্মানী বানাবেন এই অর্থ নয়, বরং উভয় জগতে সম্মানী বানাবেন।
বিনয়ের মাঝে রয়েছে সম্মান, আর অহংকার হচ্ছে বিনয় পরিপন্থী জিনিস। তাই অহংকারের মধ্যে রয়েছে- ইহকাল-পরকাল উভয় কালের লাঞ্ছনা। অহংকারীকে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে। দিল দ্বারা তাকে কেও শ্রদ্ধা করে না। সে বিপদগ্রস্ত হলে তাকে সাহায্য করার পরিবর্তে লোকজন আনন্দিত হয়। অহংকারের কারণে সমাজে দ্বন্ধ-কলহ, অনৈক্য সৃষ্টি হয়।
তদুপরি হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ ও সম্পদের লিপসা এ থেকেই সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে শত শত দুনিয়াবি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
অহংকার, লোভ, হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে। এ সত্য বাক্যটি চিরন্তন। অহংকার মানুষের একটি আত্মিক রোগ। এ রোগ কম বেশি প্রায় প্রতিটি নারীপুরুষের মধ্যেই থাকে। তারপরও আল্লাহর পথের পথিক মুমিন ব্যক্তি নিজ আত্মার সঙ্গে সংগ্রাম করে দমন করে রেখেছে এ দুরারোগ্য ব্যাধি।
শয়তান থেকে এ রোগের উৎপত্তি। শয়তানের মধ্যে ছিল এ খারাপ অভ্যাস। শয়তান অহংকার করে বলেছিল- আমি আগুনের তৈরি, আর আদম মাটির তৈরি। সুতরাং আমি আদমকে সেজদা করব কেন? (সুরাহ আরাফ)
যাই হোক, অহংকার ও দাম্ভিকতা পতনের মুল। মরীচিকা যেভাবে আস্তে আস্তে লোহাকে ঘিরে ধরে, তেমনি অহংকার মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। তাকে সমাজের মানুষ ভাল চোখে দেখেনা। যার ফলশ্রুতিতে সেও হয়ে উঠে দুর্বৃত্ত। দেখা দেয় হানাহানি,মারামারি ও পিতা মাথার অবাধ্যতা।